
প্রকাশিত: ৪ ঘন্টা আগে, ০৭:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ের ওয়াশরুমে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পাশবিক এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পাঁচদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিজান (৪০) কে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটের দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে অর্পিতা হালদার (১১) নামের ওই ছাত্রী ওয়াশরুমে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা মিজানুর রহমান হঠাৎ দরজা বন্ধ করে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে, চাকু দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ভিকটিম অসুস্থ অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে গেলে পরিবারের সদস্যরা ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন। তবে এলাকার কতিপয় কিছু প্রভাবশালীর চাপের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে ঘটনার কয়েকদিন পর গত (২৪ মে) তারিখে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় (রেজি নম্বর: ৫২৭/৫২৭)। চিকিৎসকরা ধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং প্রমাণস্বরূপ মেডিকেল রিপোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ২৪ মে ভিকটিমের মা সবিতা হালদার (৩০) বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯(১) ধারা ও দণ্ডবিধি ৫০৬(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয় (মামলা নং: ১৮, তারিখ: ২৪/০৫/২০২৫)।
২৫ মে রাত আনুমানিক ৪টার দিকে নাগরপুর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামুদ নগর বাজার সংলগ্ন তার নিজ ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত মিজানকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মিজান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের ভাগনুরা গ্রামের মৃত সোহরাব আলী ও মৃত রাহিমা বেগমের ছেলে।
ভিকটিমের বাবা বলেন, “আমার মেয়ের জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। প্রথমে কিছু প্রভাবশালী লোক অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।”
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন,“অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা তা গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করি এবং তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যাই। প্রাথমিক তদন্ত ও ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”
মন্তব্য করুন