
প্রকাশিত: ৩ মে, ২০২৪, ০৪:০৩ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
এক মাসের বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জনজীবন। এমন অবস্থায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলল মুষলধারে বৃষ্টির। বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিতে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল ওষ্ঠাগত প্রাণীকূল। বৃষ্টিতে ভিজেছে উত্তপ্ত রাজধানীর পথঘাট; ফিরেছে শীতল অনুভব।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকেই আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। রাত ৯টার দিকে পাওয়া যায় হালকা বৃষ্টির খবর। এর পর রাত পৌনে ১২টার দিকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে নামে মুষলধারে বৃষ্টি নামে। কোথাও কোথাও আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৃষ্টি হয়েছে। এই সময় ঝড়ো বাতাস এবং মেঘের গর্জনে কম্পিত হয় রাজধানীর মানুষ।
হাতিরঝিল, রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, গুলশান, সিদ্ধেশ্বরী, বসুন্ধরা আবাসিক, ধানমন্ডি, পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ি, রায় সাহেব বাজার ও রায়েরবাগসহ কাছাকাছি কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি নামে। কোথাও কোথাও অল্প সময় ধরে বৃষ্টি হলেও তাতেই স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
রাজধানীতে ঠিক কী পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাৎক্ষণিক পরিমাপ করা হয়নি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যে বৃষ্টি হয়েছে সেটি খুবই সামান্য পরিমাণ। তাই সেটির রেকর্ড নেই। তবে রাত ১২ টার দিকে ঢাকার অধিকাংশ এলাকাতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটি সামান্য বৃষ্টি। এখন পর্যন্ত রেকর্ড হয়নি। সাধারণত তিন ঘণ্টা পরপর রেকর্ড হয়।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৫ মে থেকে সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। এই বৃষ্টি ৫ থেকে ৭ দিন চলমান থাকতে পারে। আর আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ পূর্ববর্তী এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন