
প্রকাশিত: ৬ ঘন্টা আগে, ০৫:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মোঃএনামুল হক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মালাদাম বাজার থেকে নলেহাপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। গত কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে সড়ক জুড়ে কাঁদার কারণে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সড়ক ধরে চলাচল করা দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। সড়কটি স্থানীয়ভাবে সংস্কার করলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। বিদ্যালয়ে আসতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির অবসান নেই। খানাখন্দের কারণে সড়ক ধরে চলাচল করা ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহন কাদায় আটকে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও অনেক সময় কাদায় পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন।
তবে এবার সবার ভোগান্তি লাঘবের লক্ষ্যে মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিজে সড়ক মেরামতে অংশ নিয়েছেন।
সোমবার দুপুরের বিরতিতে তারা সড়কের কাঁদা সরিয়ে যান চলাচলের জন্য সাময়িকভাবে সড়কটি উপযোগী করেন। এ সময় খানাখন্দে বালি দিয়ে ভরাটও করা হয়। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সড়কটি পাঁকাকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুই আক্তার বলেন, সড়কটি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা খুব কষ্টের। কাদার কারণে সড়ক দিয়ে হাঁটা যায় না। সড়কে বড় বড় গর্ত। আমরা অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই ভিজে যায়, স্কুল ড্রেসও ভিজে যায়। মাঝে মধ্যে আহতও হই।
একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জয়ন্ত চন্দ্র রায় বলেন, মালাদাম বাজার থেকে আমাদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘদিন ধরে কষ্টে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছি। আজকে সবাই মিলে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্থ অংশ মেরামত করেছি। আমরা চাই, সড়কটি স্থায়ীভাবে পাকা করা হোক।
বুড়িরবান এলাকার বাসিন্দা প্রসন্ন চন্দ্র রায় বলেন, সড়কটি দিয়ে অন্তত তিনটি ইউনিয়নের ২০ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে। প্রতিদিন স্থানীয় ময়দানদিঘী বাজারে কৃষিপণ্য নিতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভ্যানে করে পণ্য নেয়া সম্ভব হয় না, দীর্ঘপথ ঘুরে যেতে হয়। বর্ষাকালে আমাদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই।
মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, মালাদাম বাজার থেকে ময়দানদিঘী সড়কটি প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দে ভরা। ইউপি সদস্য ও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরা একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সংস্কার করেছি, কিন্তু খানাখন্দ বন্ধ হয়নি। তাই দ্রুত সড়কটি পাকা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংস্কার করা হয়। বর্ষা মৌসুমে অন্তত তিনবার সংস্কার করতে হয়। তবুও খানাখন্দ এবং কাদা বন্ধ হচ্ছে না। মানুষজন অনেক কষ্ট করে সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি পাঁকাকরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
মন্তব্য করুন