
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বার, ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সানজিদা খাতুন ইমু, কবি নজরুল কলেজ প্রতিনিধিঃ
শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পুরান ঢাকার লক্ষীবাজার এলাকার ফুটপাতগুলোতে জমে উঠেছে গরম কাপড় বিক্রি, বসেছে গরম কাপড় বিক্রির ভ্রাম্যমান দোকান।
দোকানিদের হাক-ডাকে ভির জমছে ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলোতে।
পুরান ঢাকার লক্ষিবাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসেছে স্বল্পমূল্যে শীতকালীন পোশাক বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান।
কবি নজরুল কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফুটপাতে বসেছে স্বল্পমূল্যে শীতকালীন পোশাক বিক্রির জমজমাট ভ্রাম্যমাণ দোকান। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেঁচাকেনা। সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষদেরই পোশাক ক্রয় করতে দেখা যায় এই দোকানগুলোতে। তাদের মতে শপিংমল এর থেকে স্বল্পমূল্যে ভালো মানেরই শীত বস্ত্র পাওয়া যায় এখানে।
পৌষ এর শুরুর সাথে সাথেই শীত জেঁকে বসেছে পুরান ঢাকায়।উত্তর বঙ্গের মতো হিম শীতল ঠান্ডা এখানে না থাকলেও, গায়ে চাঁদর বা সোয়েটার জরানোর মতো শীত পরেছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্রা কমই থাকে এখানে।শীতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে স্ল্প আয়ের মানুষেরা শীতকালীন বস্ত্র ক্রয় করে ফুটপাতের এসব দোকান থেকে।
বিক্রেতারা দোকানে হুডি, মোটা গেঞ্জি, জ্যাকেট, সুয়েটার, মেয়েদের কার্ডিগান, শর্ট কোর্ট, বেলবেড জ্যাকেট , ডেনিম শার্ট, বাচ্চাদের শীতের জামা, কানটুপি , মাফলার, মোজাসহ বিভিন্ন ধরনের শীতবস্ত্র নিয়ে বসেছেন ফুটপাতে। সকল বয়সের মানুষের শীত বস্ত্র পাওয়া যায় এসব দোকানে। হকারদের হাঁকডাকে বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতের এসব শীত বস্ত্র।
ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানের শীতবস্ত্রের দাম যাচাই করে দেখা যায়, হুডি ২৫০-৫০০ টাকা, মোটা গেঞ্জি ১৫০-২৫০ টাকা, মেয়েদের কার্ডিগান ৩০০-৮০০ টাকা, সুয়েটার ২০০-৩০০ টাকা, মোটা জ্যাকেট ৫০০-৭০০ টাকা, ডেনিম শার্ট ২০০-৩০০ টাকা, কানটুপি ৬০-২০০ টাকা, মাঙ্কি টুপি ৬০ টাকা, জ্যাকেট ৫০০-৬০০ টাকা, শর্ট কোর্ট ৪০০-৭০০ টাকা, ছোটদের শীতের পোশাক ১০০-৩০০ টাকা, মোজা ২০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফুটপাতে শীত বস্ত্র কেনার সময় ফাতেমা খাতুন বলেন, স্বল্পমূল্যে শীতকালীন পোশাক পাওয়া যায় এবং দরদাম করে পছন্দের পোশাক নিতে পারি তাই এখান থেকেই ক্রয় করি। তবে অনেক সময় ফুটপাতের দোকানিরাও অতিরিক্ত দাম চায় ।
কথা হয় আরেক ক্রেতা জয়নাল হকের সাথে। তিনি বলেন, " আমরা গরীব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। অত টাকা দিয়া বড় দোকান থেকে কিনার ক্ষমতা আমাদের নাই। এখান থেকেই অনেক ভালো সোয়েটার কিনতে পারি। প্রতিবার আামি এখান থেকেই শীতের পোশাক কিনি। আমাদের শীত কাটানোর ভরসাই এই দোকানগুলো।
লক্ষিবাজারের ফুটপাতের খুচরা বিক্রেতা মোঃ লিটন বলেন, শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বেচাঁ-কেনা ও বাড়বে। শীত তেমন না পড়লে ক্রেতা পাওয়া যায় না। আমরা সবধরনের শীতকালীন পোশাক বিক্রি করি। স্বল্প আয়ের মানুষেরাই বেশি এসব বস্ত্র ক্রয় করে। এছাড়াও কবি নজরুল, জগন্নাথ এর শিক্ষার্থীরাও এসব বস্ত্র ক্রয় করে "।
ফুটপাতের আরেক খুচরা বিক্রেতা রমিজ মিয়া বলেন, " এখনো তেমন বেঁচা-কেনা শুরু হয়নি। গত বছরের মতো লাভ এখোনো হয় নাই। আশা করি শীত বাড়লে বিক্রিও বাড়বে। আমাদের তো এই শীত মৌসুমে বিক্রি করে লাভ।আমরা চেষ্টা করি কম দামে ভালো মানের শীত বস্ত্র বিক্রি করার "।
মন্তব্য করুন