
প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় কৃষি প্রণোদনার ১৯ বস্তা সার ও বীজ আত্মসাতের মামলায় অভিযুক্ত ৬নং আওরাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিঠু সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) মামলার তিন আসামীর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান মো.মিঠু সিকদার ও ইউপি সদস্য হেলাল সিকদার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত চেয়ারম্যানের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। ইউপি সদস্য মো.হেলাল সিকদারকে জামিন দেন আদালত। অপর আসামী আদালতে হাজির হননি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল মান্নান রসূল জানান, উচ্চ আদালত থেকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো.মিঠু সিকদারসহ তিন আসামী।
মামলার উধৃতি দিয়ে আইনজীবী আব্দুল মান্নান রসুল আরও জানান, গত ৪ জুন মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.হেলাল সিকদার অটোরিকশায় করে পরিষদের গুদাম থেকে কৃষি প্রণেদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ গোপনে স্থানান্তর করার সময় স্থানীয় লোকজন তা দেখে ফেলেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.নেছার উদ্দিনকে জানান। এরপর তিনি ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালান।
এসময় পরিষদের গুদাম থেকে ছয় বস্তা ব্রি-ধানের বীজ ও সাত বস্তা রাসায়নিক সার জব্ধ করেন। পরে স্থানীয় সাতানি বাজারের যুবলীগ নেতা দীপক হাওলাদারের বাসা থেকে ছয় বস্তা জব্দ করা হয়। এঘটনায় পরের দিন ৫ জুন (বুধবার) রাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মিঠু সিকদার, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার হেলাল সিকদার ও ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি দীপক হাওলাদারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা একটি করেন উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান বিন ইসলাম।
মামলার বিবরণে আরও জানাগেছে, খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণেদনা কর্মসূচির আওতায় এ বছরের এপ্রিল মাসে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে রাসায়নিক সার ও আউশ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়। উপজেলার ৩৭শ ৫০ জন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি পিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ৬শ ২৫ জন কৃষকের জন্য বরাদ্দ হয়। কিন্তু বিতরণের দুই মাস পর এই সার ও বীজ জব্দ হয়।
মন্তব্য করুন