
প্রকাশিত: ১০ ঘন্টা আগে, ০৫:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ আ.লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের ৪৭ নেতার নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। পঞ্চগড় সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মানিক মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। গত ২৬ জুন এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১২ মে বাংলাদেশ সরকার আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। ২৬ জুন পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের এসআই বেলাল হোসেন, এসআই কাওছার রহমান, এসআই আবিদ হাসান, এসআই চন্দন কুমার, এসআই নাজমুল হুদাসহ পুলিশ সদস্যরা পঞ্চগড় সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ী ইউনিয়নের বজরা বাজারে ডিউটি করছিলেন। ডিউটিরত অবস্থায় তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, পঞ্চগড়-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুজ্জামান মুক্তার ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগ নেত্রী মৌসুমীর নেতৃত্বে প্রায় ১১০-১২০ জন নেতাকর্মীদের নিয়ে তার কাজীপাড়াস্থ খামারবাড়িতে আ.লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। সেখানে তারা দলীয় কার্যক্রম চালানো, পরিকল্পিত ভাবে রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিপন্ন, সরকারকে উৎখাতের জন্য সরকারি বেসরকারি মালামাল ধ্বংস, অগ্নিসংযোগ, জনমনে আতংক সৃষ্টির জন্য পরিকল্পনা করছে। খবর পেয়ে পুলিশ হানা দিলে তারা পালিয়ে যায়। কাউকে আটক করা যায়নি।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৪৭ জনের নামে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- নাইমুজ্জামান মুক্তার, তার স্ত্রী মৌসুমী, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদত সম্রাট, সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড় সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় জেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আ.লীগের সভাপতি কাজী আল তারেক, সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবীর উজ্জ্বল, পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শেখ মিলন, পৌর যুবলীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর হাসনাত মোহাম্মদ হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সুজাউদ দৌলা সুজা, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মামুনুর রশিদ লায়নসহ ৪৭ জন।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন