
প্রকাশিত: ১৭ ঘন্টা আগে, ০৭:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
প্রধান প্রতিবেদকঃ
সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা গাড়ি নিলামের পরিবর্তে বিক্রির জন্য নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘গাড়িগুলো আমরা নিলামে দিয়েছিলাম। তবে আশানুরূপ ফল পাইনি। এখন আমরা কিছু বিকল্প চিন্তা করছি। যেমন কোনো কোনো সরকারি সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছে, তারা ৬০ শতাংশ দামে গাড়িগুলো নিতে চায়। আমরা জলের দরে বিক্রি করতে চাই না।
এগুলোর একেকটি গাড়ির দাম ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা। যদি উপযুক্ত দাম না পাই, তাহলে আরও ভালো ব্যবহার কীভাবে করা যায়, তা সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। এসব গাড়ি বছরের পর বছর ফেলে স্ক্র্যাপ করার পক্ষে নই। অচিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এই গাড়িগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করেছিলেন তৎকালীন সংসদ সদস্যরা। সরকারের পটপরিবর্তনের পর গত ৬ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়। শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তাতে এই গাড়িগুলো ফেলে যান সাবেক সংসদ সদস্যরা।
মোট ৪২টি গাড়ির মধ্যে ২৪টি গাড়ি গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় নিলামে বিক্রির জন্য তুলেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে গাড়িভেদে সর্বোচ্চ ১ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর দিয়েছেন আগ্রহী ক্রেতারা, যা গাড়িগুলোর বাজারদরের চেয়ে অস্বাভাবিক কম। দর কম হওয়ায় তা ছাড় দেয়নি কাস্টমস।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্দরে ৬ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে। এগুলো নিলামে তুলে বন্দরের জট নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে একটি নিলামের আয়োজন হয়েছে। প্রথম নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে আমরা দিয়ে দেব। নিলাম করতে করতে যাতে সময় নষ্ট না হয় সে জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলমসহ সংগঠনের নেতারা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন