
প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে, ০৪:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদকঃ
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আদালতে দেওয়া এক বক্তব্যে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি’ ও ‘প্রহসনের’ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাবের কারণেই এমন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে শুনানিকালে বিচারকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচারক তখন হাবিবুল আউয়ালকে প্রশ্ন করেন, যদি নির্বাচন প্রহসনের হয়ে থাকে, তবে তিনি পদত্যাগ করেননি কেন? এই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, অতীতে কোনো প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেননি।
আলোচনার একপর্যায়ে হাবিবুল আউয়াল শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলের নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়ও আদালতের সামনে তুলে ধরেন।
ভোটাধিকার হরণ ও প্রহসনের নির্বাচনের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলাটি রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয়। যদিও পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, হাবিবুল আউয়ালকে বুধবার সকালে মগবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একই মামলায় গত রোববার গ্রেপ্তার করা হয় আরেক সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদাকে। সোমবার আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী তিন সাবেক সিইসি—কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলায় নতুন ধারাও যুক্ত করা হয়েছে, যা গতকাল আদালত অনুমোদন দেন। মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, জাবেদ পাটোয়ারী, এ কে এম শহীদুল হকসহ আরও কয়েকজন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন